ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে নিখোঁজের ৫ঘন্টা পর নিজ ঘরের খাটের নিচ থেকে শিপা(১৪) ও কামরুল হাসান (১০) নামে দুই ভাই-বোনের রক্তাক্ত অবস্থায় গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
২৪ আগস্ট সোমবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার ছলিমাবাদ গ্রাম থেকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয় । নিহত শিফা বাঞ্ছারামপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী এবং কামরুল ছলিমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র। নিহত দুজন ছলিমাবাদ পশ্চিম পাড়ার সৌদি ফেরত প্রবাসী মো: কামাল হোসেনের সন্তান।
এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত কামরুল হাসান (১০) বিকেল ৪টা থেকে নিখোঁজ হয়। তাকে খুজতে পরিবারের সদস্যরা এলাকায় মাইকিংও করতে থাকেন। মা হাসিনা আক্তার মেয়ে শিফাকে রান্না ঘরে দিয়ে ছেলের সন্ধানে বের হন। সন্ধ্যার পর মা হাসিনা আক্তার বাড়িতে ফিরে দেখে মেয়ে শিফা ও নিখোজ । পরে রাত ৮টার দিকে নিজ বসত ঘরের পৃথক দুটি রুমের খাটের নিচে ছেলে মেয়ের লাশ রক্তাক্ত অবস্থায় পরে থাকতে দেখে। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে পৌছায়। পরে খবর পেয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এবং লাশ উদ্ধার করে জেলা মর্গে পাঠায়।
তবে ঘটনার পর থেকে নিহতের মামা বাদল মিয়া পলাতক রয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যকর অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছেন এলাকাবাসী।
নবীনগর সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার মুকবল হোসেন বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা যাচ্ছে এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের মা,বাবা সহ ৪ জনকে থানায় নিয়ে এসেছি । এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।