ব্রাহ্মনবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের ছলিমাবাদ গ্রামে ভাই- বোনকে গলা কেটে হত্যা করেছে তাদেরই আপন মামা বাদল। দেশে চাঞ্চল্যকর এই জোড়া খুনের হত্যাকারীর ফাসি চেয়ে সামাঝিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন অনেকেই।সমাজের সকল স্থরের জনগন চাচ্ছে এই খুনি বাদলের সর্বোচ্ছ রায় কার্যকর করা হোক। এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের সবাইকে সর্বেোচ্চ শাস্তির ব্যাবস্থা করা হউক। গতকাল ভোরে সন্দেহভাজন মামা বাদল মিয়াকে আটক করেছে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা পুলিশ। বুধবার ভোর পাঁচটার সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নবীনগর সার্কেল মকবুল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে ঢাকার সবুজবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে দুপুরে থানায় নিয়ে আসে।
বাদল মিয়া হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ, নিহতদের বাবা সৌদি প্রবাসী কামাল মিয়া বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন,বাদলের বাড়ি কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার খোদা দাউদপুর গ্রামে, পিতার নাম আবদুর রব। উল্লেখ্য গত সোমবার রাত আটটার সময় নিজ বাড়ির খাটের নিচ থেকে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী শিফা আক্তার ও তার ভাই চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র কামরুল হাসানের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ। এই ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন মামা বাদল মিয়া। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নবীনগর সার্কেল মকবুল হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা সবুজবাগ এলাকা থেকে আজ ভোর পাঁচটায় প্রধান সন্দেহভাজন নিহতদের মামা বাদল মিয়াকে আটক করা হয়,সে প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে, দুলাভাইয়ের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিল সে টাকা ফেরত চাওয়ায় তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয় তারই জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড, নিহতদের বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে, ঘটনার সাথে আর কেউ জড়িত কি না বিষয়টা খতিয়ে দেখছি ,তাকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করছি।