শিরোনাম
বাঞ্ছারামপুর চরশিবপুর বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট উদ্বোধন বিএনপি’র সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বাঞ্ছারামপুরে ১৪৪ ধারা জারি বাঞ্ছারামপুরে ছাত্রদল নেতা ফাহাদের অসমাপ্ত স্বপ্ন পূরণের লক্ষে কাজ করবে বিএনপি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় ছাত্রদল নেতা ফাহাদ নিহত যানজটে স্থবির রাজধানী, সীমাহীন দুর্ভোগ বরগুনায় সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে মারধরের ঘটনায় মামলা বাঞ্ছারামপুরে নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত সাবেক ছাত্রদল নেতা লন্ডন প্রবাসী নুরুল আমিন সজল শেখ মুজিব বাকশাল গঠনের নামে গনতন্ত্রকে কবর দিতে চেয়েছিলো- এম এ খালেক পিএসসি সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন তাজের গ্রেফতারের খবরে বিএনপির আনন্দ মিছিল বাঞ্ছারামপুরে শেখ হাসিনার বিচার দাবিতে যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল
শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:২০ পূর্বাহ্ন

দাদার হাতে নাতী খুন

নাগরপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি / ২৮৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২২
নাগরপুরে দাদার হাতে নাতী খুন নাগরপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি;- টাঙ্গাইলের নাগরপুরে দাদার লাঠির আঘাতে নাতী মো. রিফাত মিয়ার (১৩) মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ইরতা পূর্বপাড়া গ্রামে। সে ওই গ্রামের মো. রেজাউল মিয়ার ছেলে । নিহত রিফাত সহবতপুর হাই স্কুলের নবম শ্রেনীর ছাত্র। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকালে সহবতপুর বাজার থেকে রিফাতের বাবা বড় একটি পাঙ্গাস মাছ কিনে বাড়ীতে আনেন। তখন রেজাউলের স্ত্রী বলে, এতো বড় মাছ কিনে আনলা দেইখ এটা নিয়ে কথা সৃষ্টি হবে। পাশের ঘর থেকে রিফাতের ছোট চাচী এই কথা শুনে শশুর রাজ্জাকের কাছে বলে দেয়। এতে রিফাতের দাদা রাজ্জাক মিয়ার (৬৫) মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। রাজ্জাক মিয়া তার ছেলে রেজাউলকে মাছ কিনে আনার বিষয়ে প্রতিবাদ করে। তখন রেজাউল তার স্ত্রীকে বলে যে, বাবাকে মাছ দেওয়ার জন্য। এতে রাজ্জাক মিয়া (বাবা) আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। রাজ্জাক মিয়া ও তার স্ত্রী এবং ছোট ছেলের বৌ মিলে রেজাউল, ছেলে রিফাত ও স্ত্রীকে মারপিট করে। পিতা পুত্র গুরুত্বর আহত হয়। ওই দিন বিকালে এলাকাবাসী তাদের কে উদ্বার করে নাগরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। রাত অনুমানিক ১টার দিকে চিকিৎসারত অবস্থায় রিফাত মারা যায়। নাগরপুর থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রিফাতের লাশ উদ্বার করে টাঙ্গাইল সদর হাসাপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য মরগে প্রেরণ করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ফাতেমাতুজ্জহুরা বলেন, গতকাল বুধবার বিকাল তিনটার সময় রিফাত ও তার বাবা রেজাউল মাথায় আঘাত নিয়ে হাসপাতালে আসলে তাদের কে ভর্তি করা হয়। রিফাতের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে রেফার্ড করি। রিফাতের আত্নয়ীস্বজন তাকে টাঙ্গাইল না নিয়ে পাচঁটার দিকে আবার হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ সময়ের মধ্যে রিফাত বমি সহ মাথা ব্যাথা চোখে ঝাপসা দেখেছে বলে জানান। তখন আবারও রিফাত কে দ্রুত টাঙ্গাইল নিতে বলা হয়। কিন্তু তারা না নেওয়ায় পরে অভিবাবকের অনুমতি নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। রাত একটার দিকে রিফাত মারা যায়। নিহত রিফাতের বাবা রেজাউল বলেন, আমি ঢাকায় একটি আরতে কাজ করি। ছুটি নিয়ে বাড়ীতে আসি। বুধবার বিকালে স্থানীয় সহবতপুর বাজার থেকে একটি পাঙ্গাস মাছ কিনে আনি। আমার বাবা, মা ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মাছকে কেন্দ্র করে আমার সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমাদেরকে মারপিট করে। এতে আমার ছেলে রিফাতের মাথায় লাঠি দ্বারা আঘাত করলে সে গুরুত্ব আহত হয়। ওই রাতেই আমার ছেলে রিফাত মারা যায়। এ ব্যাপারে নাগরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। লাশ উদ্বার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল সদরে পাঠানোর হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও তিনি জানান । নাগরপুর,টাঙ্গাইল তারিখ: ০৬.০১.২০২২
নিহত রিফাত

টাঙ্গাইলের  নাগরপুরে দাদার লাঠির আঘাতে নাতী  মো. রিফাত মিয়ার (১৩) মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ইরতা পূর্বপাড়া গ্রামে। সে ওই গ্রামের মো. রেজাউল মিয়ার ছেলে । নিহত রিফাত সহবতপুর হাই স্কুলের নবম শ্রেনীর ছাত্র।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকালে সহবতপুর বাজার থেকে রিফাতের বাবা বড় একটি পাঙ্গাস মাছ কিনে বাড়ীতে আনেন। তখন রেজাউলের স্ত্রী বলে, এতো বড় মাছ কিনে আনলা দেইখ এটা নিয়ে কথা সৃষ্টি হবে। পাশের ঘর থেকে রিফাতের ছোট চাচী এই কথা শুনে শশুর রাজ্জাকের কাছে বলে দেয়। এতে রিফাতের  দাদা রাজ্জাক মিয়ার (৬৫) মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। রাজ্জাক মিয়া তার ছেলে রেজাউলকে মাছ কিনে আনার বিষয়ে প্রতিবাদ করে। তখন রেজাউল তার স্ত্রীকে বলে যে, বাবাকে মাছ দেওয়ার জন্য। এতে রাজ্জাক মিয়া (বাবা) আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। রাজ্জাক মিয়া ও তার স্ত্রী এবং ছোট ছেলের বৌ মিলে রেজাউল, ছেলে রিফাত ও স্ত্রীকে মারপিট করে।  পিতা পুত্র গুরুত্বর আহত হয়। ওই দিন বিকালে এলাকাবাসী তাদের কে উদ্বার করে নাগরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। রাত অনুমানিক ১টার দিকে চিকিৎসারত অবস্থায় রিফাত মারা যায়। নাগরপুর থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রিফাতের লাশ উদ্বার করে টাঙ্গাইল সদর হাসাপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য মরগে প্রেরণ করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ফাতেমাতুজ্জহুরা বলেন, গতকাল বুধবার বিকাল তিনটার সময় রিফাত ও তার বাবা রেজাউল মাথায় আঘাত নিয়ে হাসপাতালে আসলে তাদের কে ভর্তি করা হয়। রিফাতের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে রেফার্ড করি। রিফাতের আত্নয়ীস্বজন তাকে টাঙ্গাইল না নিয়ে পাচঁটার দিকে আবার হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ সময়ের মধ্যে রিফাত বমি সহ মাথা ব্যাথা চোখে ঝাপসা দেখেছে বলে জানান। তখন আবারও রিফাত কে দ্রুত টাঙ্গাইল নিতে বলা হয়। কিন্তু তারা না নেওয়ায় পরে অভিবাবকের অনুমতি নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। রাত একটার দিকে রিফাত মারা যায়
নিহত রিফাতের বাবা রেজাউল বলেন, আমি ঢাকায় একটি আরতে কাজ করি। ছুটি নিয়ে বাড়ীতে আসি। বুধবার বিকালে স্থানীয় সহবতপুর বাজার থেকে একটি পাঙ্গাস মাছ কিনে আনি। আমার বাবা, মা ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মাছকে কেন্দ্র করে আমার সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমাদেরকে মারপিট করে। এতে আমার ছেলে রিফাতের মাথায় লাঠি দ্বারা  আঘাত করলে সে গুরুত্ব আহত হয়। ওই রাতেই আমার ছেলে রিফাত মারা যায়।
এ ব্যাপারে নাগরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন,  হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে  ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। লাশ উদ্বার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল সদরে পাঠানোর হয়েছে।  আইনগত ব্যবস্থা  প্রক্রিয়াধীন বলেও তিনি জানান ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!