কুমিল্লার দাউদকান্দিতে স্বামী পরিত্যক্ত চল্লিশর্ধো এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই নারী নিজে বাদী হয়ে কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে দাউদকান্দি মডেল থানার ওসিকে তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের সুরেরবাগ গ্রামের মৃত তারু মিয়ার ছেলে নাছির উদ্দিন ওরফে ড্রেজার নাছির গত ছয় মাস যাবৎ প্রায় সময়ই বিভিন্ন সময়ে বাড়ীর আশপাশে ঘুরাঘুরি করে অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে কুপ্রস্তাব দিত। তার প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় পরে সে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এত রাজি না হওয়ায় গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে প্রকৃতির ডাকে ওই নারী ঘরের বাইরে গেলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা নাছির উদ্দিন ওরফে ড্রেজার নাছির মুখ চেপে ধরে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে এঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে মীমাংশা কথা বলে এলাকার গণ্যমান্য লোকজন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ সেলিম মিয়া বলেন, কয়েকদিন আগে সুরেরবাগ গ্রামের নাছির উদ্দিন এক মহিলাকে জোড়পূর্বক ধর্ষন করেছে বলে শুনেছি। ওই মহিলাকে সে বিয়ে করবে বলে এলাকার লোকজন বলাবলি করতো। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন সমাধা করার জন্য চেষ্টা করেছে। এনিয়ে গ্রামের মসজিদের সামনে বৈঠক বসলেও নাছির উদ্দিন উপস্থিত না হওয়ায় কোন সমাধা হয়নি। গ্রামবাসী পরে ওই মহিলাকে আইনের আশ্রয় নেয়ার জন্য বলে দিয়েছে।
অর্ষনের স্বীকার ওই নারী বলেন, আমার স্বামী অনেক বছর খোজ খবর নেয়না।এক ছেলে এক মেয়ে চট্টগ্রামে থাকে। বাড়ীতে আমি একা থাকি, প্রায় সময়ই নাছির আমাকে বিয়ে করার কথা বলে সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করতো। গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রকৃতির ডাকে ঘর থেকে বের হলে সে কখন ঘওে ডুকে যায় দেখিনি। আমি ঘরে যাওয়ার সাথে সাথে আমার মুখ চেপে ধরে নির্যাতন করে। আমার চিৎকার শুণে প্রতিবেশিরা আসলে নাসির পালিয়ে যায়।
মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ দুলাল মিয়া বলেন, বিষয়টি আমি পরস্পর শুনেছি, লিখিত বা মৌখিকভাবে কেউ জানায়নি।
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন, যেহেতু ধর্ষনের বিষয় আদলতে মামলা হয়েছে, তাই মামলার কপি না পাওয়া পর্যন্ত এবিষয়ে কিছু বলতে পারবো না।