কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কম্পিউটার দোকানগুলোতে ডাটা এন্ট্রি করতে প্রবাস ফেরত মানুষের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। গত তিনদিন ধরে প্রবাস ফেরত ব্যক্তিরা গুগল ক্রোমের একটি ওয়েব সাইটে এ আবেদন করে যাচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ আগস্ট যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ২০১৫ সাল থেকে ২০২৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যে সকল প্রবাসীরা দেশে ফেরত এসেছেন, তাদের একটি নিবন্ধন তৈরি করে স্থানীয় উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে জমা প্রদান করতে। গত ৭ সেপ্টেম্বর ডাটা এন্ট্রির সময় শেষ হয়ে গেলেও চৌদ্দগ্রামের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা গত শনিবার তাদের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট করেন। পোস্টে ২০১৫ সাল থেকে যে সকল প্রবাসী দেশে ফেরত এসেছেন, তারা দ্রুত ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করে তাদের নিবন্ধনের এক সেট ফটোকপি উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে জমা প্রদান করতে উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর থেকেই চৌদ্দগ্রামের প্রবাস ফেরত ব্যক্তিরা কম্পিউটার দোকানে ভীড় করতে থাকেন।
দুবাই থেকে ফেরত আসা আবদুল কাইয়ুম বলেন, আমি চলতি বছরে দুবাই থেকে একেবারে দেশে চলে এসেছি। শুনেছি-সরকার প্রবাস ফেরত ব্যক্তিদের জন্য অনুদান অথবা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে। তাই নিজের নামটি লিপিবদ্ধ করতে এখানে এসেছি।
আইয়ুব আলী নামে সৌদি ফেরত অপর ব্যক্তি বলেন, প্রবাস ফেরতদের সরকার অনলাইন নিবন্ধন করতেছে এমন একটি সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পেরেছি। তাই আমিও অনলাইনে নিবন্ধন করতে এসেছি।
কাশিনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন বলেন, গত কয়েকদিন আগে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আমাদেরকে জানান, সরকার প্রবাস ফেরত ব্যক্তিদের অনলাইন নিবন্ধন করছে। যারা এ অনলাইন নিবন্ধনে অংশ নিতে চায়-তারা যেন দ্রুত পাসপোর্ট ও আইডি কার্ডের ফটোকপি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর চৌদ্দগ্রাম উপজেলা কার্যালয়ে জমা দিয়ে যান। যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার এমন নির্দেশে আমি বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেছি। তবে প্রবাস ফেরত ব্যক্তিদেরকে কি দেয়া হবে-এমন কোন তথ্য যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আমাদেরকে দিতে পারেনি।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ কামাল উদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, গত ২৭ আগস্ট থেকে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে আমাকে একটি চিঠি দিয়ে জানানো হয় যে, ২০১৫ সাল থেকে ২৩ সাল পর্যন্ত বিশেষ করে করোনাকালিন সময় কোন প্রবাসী দেশে এসে পূনরায় যেতে পারেনি, সরকার হয়তো তাদের বেকার সমস্যা দুর করার জন্য প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তানভীর হোসেন বলেন, ২০১৫ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত যে সকল প্রবাসীরা একবারে দেশে ফেরত এসেছে সরকার তাদেরকে অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি করার জন্য বলা হয়েছে।