আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাব্রতী সংস্থা দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর ‘নারী নেতৃত্ব বিকাশ কর্মসূচি’র আওতাধীন ‘বিকশিত নারী নেটওয়ার্ক’-এর অষ্টম জাতীয় সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
আজ শনিবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ভবনে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডির সম্মানীত ফেলো ড. রওনক জাহান। তিনি বলেন, দেশের নারীরা অনেকটাই এগিয়েছেন, নিজেকে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তবে এখনো বাল্যবিয়ে, নারী নির্যাতনের মতো ঘটনা অনেক বেশি ঘটছে। তৃণমূলের নারীরা একে অপরের পাশে দাঁড়ালে নির্যাতন, বাল্যবিয়ে কমে আসবে।
হাঙ্গার প্রজেক্টের গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কান্ট্রি ডিরেক্টর বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নারীমুক্তি মানেই নারীশক্তি। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন সম্ভব। নেটওয়ার্ক তা করে দেখিয়েছে। এখানে একজন নারী অপরজনকে সহায়তা করে প্রজ্বলিত করেছেন। এভাবে এগোলে আত্মনির্ভরশীল, সমৃদ্ধ ও মর্যাদার বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।
মানবাধিকার সংগঠক হামিদা হোসেন বলেন, তৃণমূলের নারীদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। নারীর বিরুদ্ধে ঘটা ঘটনার ক্ষেত্রে মানবাধিকার ও নারীবিষয়ক সংগঠনগুলো একসঙ্গে কীভাবে কাজ করতে পারে, সেটা দেখা দরকার।
নারী উদ্যোক্তা তাজিমা হোসেন মজুমদার বলেন, নারীদের স্বাবলম্বী হয়ে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে। তা না হলে তারা এগোতে পারবেন না।
সম্মেলনে নারী নেতৃত্ব বিকাশ কর্মসূচির প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন দ্য হাঙ্গার প্রজেক্টের কর্মসূচি পরিচালক নাছিমা আক্তার। তিনি জানান, বিকশিত নারী নেটওয়ার্কের ইউনিয়ন কমিটি ১১৯টি ও উপজেলা কমিটি ৬৮টি। নারী নেটওয়ার্কের নারী নেত্রীরা বাল্যবিয়ে ও ইভটিজিং বন্ধ করা, জন্মনিবন্ধন, স্যানিটেশন, নিরাপদ মাতৃত্বসহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
নারী নেত্রীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র্যাফেল ড্র ও বিকশিত নারী নেটওয়ার্কের নতুন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।