ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে অবৈধ চকলেট উৎপাদনকারী ফেক্টরীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ফেক্টরির জমিদাতা সহ ৩শ্রমিককে জরিমানা ও কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় বাঞ্ছারামপুর পৌরসভার দশদোনা গ্রামে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খন্দকার কনজুমার ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামক একটি চকলেট ফেক্টরিতে অভিযান পরিচালনা করে ৩জনকে কারদন্ড প্রদান করেন বিচারিক হাকিম ও সহকারী কমিশনার(ভূমি) কাজী আতিকুর রহমান। ।
গ্রেফতারকৃত দশদোনা গ্রামের মৃত আব্দুল হক খন্দকার এর ছেলে হুমায়ুন কবির খন্দকার (৭২)কে ২লাখ টাকা জরিমানা এবং ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এছাড়াও বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানার গজারিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল হাই সরকার এর ছেলে মেহেদী হাসান (৪০)কে ৩মাসের কারাদন্ড ও রাজশাহী জেলার বাঘমারা থানার বড়বিহানআলি গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে রিপন মিয়া (২৮)কে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। তাদের প্রত্যেককে ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষন আইন-২০০৯ এর ৫৩ ধারা অনুযায়ি কারাদন্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) কাজী আতিকুর রহমান। অভিযান পরিচালনার সময় বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম এর নেতৃত্বে পুলিশের একদল চৌকস টিম উপস্থিত ছিলেন।
সরেজমিন গিয়ে জানাগেছে, বাঞ্ছারামপুর পৌর এলাকার দশদোনা গ্রামের মৃত আব্দুল হক খন্দকার এর ছেলে খন্দকার মোসাদ্দেক হোসেন দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে নিজ বাড়িতে বিএসটিআই এর অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে খন্দকার কনজুমার ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামক একটি চকলেট উৎপাদনকারী ফেক্টরি পরিচালনা করে আসছেন। এছাড়াও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিভিন্ন নামিদামি দেশি-বিদেশী কোম্পানির নাম ও লগু ব্যবহার করে চকলেট,আইস ললি, ম্যাংগো জুস, ডেইরি মিল্কসহ শিশুদের নানানরকম লোভনীয় খাদ্যদ্রব্য তৈরি করে বাজারজাত করছেন। বুধবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাৎক্ষনিক অভিযান পরিচালনা করে ফেক্টরি মালিক মোসাদ্দেক হোসেনের বড়ভাই হুমায়ুন কবির খন্দকার সহ ২শ্রমিককে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এছাড়াও অভিযান পরিচালনার সময় ফেক্টরির মালিক খন্দকার মোসাদ্দেক হোসেন পলাতক ছিলেন।
উপজেলা সহকারি কমিশনার ( ভূমি) কাজী আতিকুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা খন্দকার কনজুমার ফেক্টরিতে আসি। এখানে এসে দেখতে পাই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিএসটিআই এর অনুমতি ছাড়া ফেক্টরিতে বিভিন্ন কোম্পানির নাম ও লগু ব্যবহার করে চকলেটসহ শিশুদের নানানরকম খাদ্যদ্রব্যদি উৎপাদন করেছেন। এখানে কোনো রকম কোয়ালিটি বজায় না রেখে কিছু নারী সদস্যদের নিয়ে পণ্যগুলো প্রস্তুত করে যাচ্ছেন। আমরা ৩জন আসামীকে আটক করে ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষন আইন-২০০৯ এর ৫৩ ধারা অনুযায়ি জরিমানা ও বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছি। এবং বিএসটিআই এর অনুমতি ছাড়া কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি।