বিএনপি-জামায়াতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে মিরসরাইয়ে তাদের নেতাকর্মীদের দেখা না মেললেও মহসড়ক দখল রেখেছিলো আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। দেশের লাইফ লাইন হিসেবে পরিচিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রীবাহী সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকলে পণ্য বোঝায় গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে। হরতাল ডেকে মাঠে ছিলনা বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। রোববার ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার কোথাও পিকেটিং করতে দেখা যায়নি।
উল্টো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংশ্লিষ্ট উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ও বিভিন্ন ইউনিয়নে মিছিল, মোটরশোভাযাত্রা, সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
রোববার সকালে মহাসড়কে মোটরসাইকেল শোড়াউন করেন উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি আশরাফুল কামাল মিটুর নেতৃত্বে যুবলীগ-ছাত্রলীগের কর্মীরা। উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম জাহাঙ্গীর ভ‚ঁইয়া, পৌর মেয়র গিয়াস উদ্দিন ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাফর উদ্দিনের নেতৃত্বে অবস্থান নেন উপজেলা ও মিরসরাই পৌর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। করেরহাটে বাজারে সকাল থেকে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। জোরারগঞ্জ বাজারে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মাষ্টারের নেতৃত্বে অবস্থান নেয় দলীয় নেতা-কর্মীরা। মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাষ্টারের নেতৃত্বে হরতাল বিরোধী একটি শোড়াউন আবুতোরাব বাজার থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এসে অবস্থান নেয়। মিঠাছরা বাজারে সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাসসুল আলম দিদার ও সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে অবস্থানে ছিলেন নেতা-কর্মীরা। এদিকে দ‚র পাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও চলাচল করছে লেগুনা ও সিএনজি অটোরিক্সা। মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছেন।
হরতালের বিষয়ে জানতে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরীর মোবাইলে কল একাধিকার কল দিলেও সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম জাহাঙ্গীর ভ‚ঁইয়া বলেন, বিএনপি জামায়াতের নাশকতা কর্মকান্ড প্রতিহত করতে ও জনগনের জানমালের নিরাপত্তার জন্য রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমরা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবস্থানে করেছি। তাঁরা আবারো আগুন সন্ত্রাস করতে চায়, মানুষ পোড়াতে চায়। কিন্তু আর তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করতে দেয়া হবে না।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন ও জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সহ উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপ‚র্ন স্থানে রোববার ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ দায়িত্ব পালন করেছেন। কোথাও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।