ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ডাকাতদের উৎপাতে জনগনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করেছে। প্রতিনিয়ত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে চুরি, ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহীনির কোনো হস্তক্ষেপ দেখা যায়নি এই পর্যন্ত। তাদের হস্তক্ষেপ না থাকায় জনপ্রতিনিধিরাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করে পোস্ট দিচ্ছেন। প্রশাসনের বাড়তি নজরদারি না থাকার কারনে ডাকাতদের উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ধারনা করেছেন স্থানীয় সচেতনমহল।
গতকাল রবিবার উপজেলা ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়নের এক কৃষকের দুটি গরু রাতের আধারে নিয়ে যায় ডাকাতরা পরে গরু দুটিকে জবাই করে বিক্রির চেষ্টা করে ডাকাত দলের সদস্যরা। বাঞ্ছারামপুর পৌরসভার কাউন্সিলর ওয়ালি আশরাফ জানান গত ৩দিন আগে দশদোনা ২নং ওয়ার্ডের কৃষক জাকির মিয়ার বাড়ি থেকে ২টি গরু রাতের আধারে নিয়ে যায় ডাকতচক্রের সদস্যরা। গরু দুটিকে জবাইয়ের জন্য দরিয়াদৌলত চকে নিয়ে যায় তারা। পরে স্থানীয় বাসীন্দারা টের পেলে তাদের দাওয়ায় গরু দুটিকে ছেড়ে পালিয়ে যায় তারা। এছাড়াও সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ডাকাতের সংঘবদ্ধ দল হানা দিয়ে জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। এবং বেশকিছু স্থানে ডাকাতির চেষ্টা করা হয়েছে বলেও জানা যায়।
এইদিকে ডাকাতদের পাহারায় ঘুমহীন রাত পার করছেন উপজেলার প্রায় ১শত গ্রামের মানুষ।
কাজেই কিশোর, যুবক,থেকে শুরু করে এলাকাবাসী নিজেদের রক্ষার জন্য রাত জেগে ডাকাতদের পাহারা দিচ্ছে ।
পাহারা দিয়েও ডাকাত দলকে থামানো যাচ্ছে না। সুযোগ বুঝে লুটে নিচ্ছে গবাদি পশু থেকে শুরু করে স্বর্ণালংকার। প্রতিবাদ করলে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করা হয়।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েক দিনে ডাকাতের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। বেশকয়েকটি বাসা বাড়ি থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ গরু চুরি করে নিয়ে গেছে ডাকাত দল। গভীর রাতে ডাকাত দল প্রতিদিনই হানা দিচ্ছে কোনো না কোনো বাড়িতে।
এই বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মহিউদ্দিন পিপিএম বলেন,আমরা এই বিষয়ে আমরা কাজ করছি। আমি এই উপজেলায় নতুন এসেছি। প্রতিদিনই পুলিশ রাতে বিভিন্ন পয়েন্টে পাহাড়া দিচ্ছে। আশাকরি খুব দ্রুত আমরা এই পরিবেশ থেকে বের হতে পারবো।