দেশি পেঁয়াজ বাজার থেকে উদাও সেই কবে। এখন আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন পেঁয়াজের দাম আরো বাড়তে পারে! গতকাল দুপুর পর্যন্ত বাজারে দোকানদাররা পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলেও ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে দাম বেড়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।
পৌরশহরের রাধানগর গ্রামের কাউছার ভূঁইয়া জানান, গতকালও দামিদামি করে ৮০ টাকা দরে বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনেছি। আজ দোকানদার বলছেন একদাম ১২০ টাকা। একদিনেই বেড়েছে ৪০ টাকা। প্রশাসনের বাজার মনিটরিং করা উচিৎ বলে আমি মনে করি। তিনি আরো নজানান এভাবে দাম বাড়তে থাকলে পেঁয়াজ খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে।
পৌরশহরের দেবগ্রাম গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা কামাল আহাম্মদ খান জানান, বাজারে পেঁয়াজের দাম শুনে তো আমি অবাক! কয়েকদিন আগেও বাজারে পেঁয়াজের দাম অনেক কম ছিল।
সিয়াম আহামেদ নামের এক সৌদি প্রবাসি জানান, প্রতি মাসের বাজার আমি একসাথে করি। সেই হিসাবে আমার পেঁয়াজ লাগে প্রতিমাসে পাঁচ কেজি। দাম শুনে মাত্র এক কেজি পেঁয়াজ কিনে বাড়ি নিয়ে যায় । মসজিদপাড়ার আবুল হোসেন নামের এক অটোরিকশা চালক বলেন ভাইরে পেঁয়াজের দাম শুনে আমার মাথায় টাকশি লাগছে। বাইত গিয়া বৌ রে কমু পেঁয়াজ ছাড়াই রান্না করতে।
সকালে সরেজমিনে পৌরশহরের সড়কবাজারের কয়েকটি মদি দোকানে গিয়ে ক্রেতা বিক্রেতাদের সাথে কথা বললে পেঁয়াজের দামের অস্থিরতার কথা জানা যায়। ব্যবসায়িরা বলছেন নতুন পেঁয়াজ বাজারে না আসা পর্যন্ত দাম কমবে না। তবে কি কারণে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়েছে তার সদুত্তর দিতে পারেন নি তারা। বেশির ভাগ ব্যবসায়ি বলছেন বেশি দামে কেনা তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।
বাজারের সোনালী ট্রেডার্স মদি দোকানের এক কর্মচারীকে পেঁয়াজের দাম জিজ্ঞেস করতেই বলেন এক দাম ১২০ টাকা। দরদাম চলবো না। নিলে নেন।
একই বাজারের মদি দোকানদার ভূঁইয়া জেনারেল ষ্টোরের মালিক ফোকরান ভূঁইয়া বলেন, গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আমাদের পেঁয়াজ কেনা ১১৫ টাকা কেজি দরে। খরচ এক টাকা, ঘাটতি এক টাকা। তারপর লাভ। আমি প্রতি চালানে বিক্রির জন্য পাঁচ বস্তা পেঁয়াজ আনি। দাম হঠাৎ করে বেশি বেড়ে যাওয়ায় এখন মাত্র এক বস্তা এনেছি।
এদিকে কাঁচা বাজারে মাছসহ শাকসবজির দাম কিছুটা কমলেও আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে!
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা বলেন, বাজার মনিটরিংসহ অভিযান চালনো হবে। কেউ বেশি দামে পন্য বিক্রি করলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে জরিমানা করা হবে।