ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়নের পাড়াতুলি- রুপসদী রোডের ষ্টীল ব্রিজ সংলগ্ন মেশিন গরের কাছে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সদস্য ও ছলিমাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ কামরুল সিকদার এবং তার কর্মী সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলা করা হয়েছে ।
রোববার দিবাগত রাত ১১টার দিকে পাড়াতলী থেকে সলিমাবাদ ইউনিয়নে যাওয়ার পথে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায় রোববার বিকেলে ছলিমাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুল সিকদার তার নির্বাচনী ওয়ার্ক শেষে কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম তূষার এর সাথে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ শেষে তিনি বাড়িতে ফেরার পথে পাড়াতুলি থেকে ছলিমাবাদ ইউনিয়নে যাওয়ার পথে ব্রিজ সংলগ্ন মেশিনঘর বরাবর রাস্তায় কাটা গাছ ফেলে ডাকাতরা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে তাদের উপর হামলা, লুটপাট করে।
এবং উপজেলা ছাত্রলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব ইসলাম মনির, সোহেল রানা, ছলিমাবাদ ইউনিয়ন শ্রমিকলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ বাবু কে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জগম করে ফেলে।
এবং চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুল সিকদার, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সহ-সভাপতি মিজান মাস্টার, ছাত্রলীগ সভাপতি নজরুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা রুস্তম , ইউনিয়ন শ্রমিকলীগ সাধারন সম্পাদক ডাক্তার রুবেলসহ আরো ১৫ জনকে পিটিয়ে আহত করে।
তাদের সাথে থাকা টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা।
পরে তাদেরকে গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পপ্লেক্সে স্থানীয় লোকজনদের সহযোগীতায় এনে প্রার্থমিক চিকিৎসা করানো হয়। পরে মনির ও বাবুবে ঢাকা মেডিকেলে রেফার করা হয়।
এব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুল সিকদার বলেন, রাত ১১ টার দিকে পাড়াতুলি থেকে বাড়িতে যাওয়ার পথে তারা রাস্তায় গাছ ফেলে আমাদেরকে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে হামলা, লুটপাট এবং সাথে থাকা মোবাইল ও টাকা নিয়ে যায়। আমার ত কোন শত্রু নাই। কিন্তু কে বা কারা এই কজ করেছে আমি ঠিক বলতে পারছি না। আমি প্রশাসন এর কাছে বিচার দাবি কারছি।
তবে স্থানীয় লোকজন জানান এখানে ডাকাতির গটনা এটা আজকে নতুন কোন খবর না। অনেক আগে থেকেই এখানে ডাকাতি হচ্ছে। তবে ব্রিজের এখানে প্রতি রাতেই পুলিশি টহল দেয়া জরুরি প্রয়োজন।