ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ধারিয়ারচর হাজী উমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বিদ্যালয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়। মানববন্ধন শেষে বহিরাগত ও শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের চেয়ার, টেবিল, দরজা ও জানালার কাচ ভাঙচুর করেন। ভাঙচুরের ঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমেনা বেগমের বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় আজ বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন আহমেদসহ ১১জন জামিনের আবেদন করেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত জামিন নামঞ্জুর করে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১১জনকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। জামিন নামঞ্জুর হওয়া মামলার অন্য আসামীরা হলেন মানিকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমান (৫৫) ও মো. কবির মিয়া (৬৭), মানিকপুর ইউনিয়ন তাঁতীলীগের আহবায়ক মো. মোস্তফা কামাল (৪৫), মানিকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম নাসির উদ্দিন (৫২), মানিকপুর গ্রামের জসিম উদ্দিন (৩০) ও সবুজ মিয়া (২৫), কল্যানপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস (২৬), মায়ারামপুর গ্রামের রাহিম রানা (২০), ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক উপ-সম্পাদক খন্দকার আবু ইউসুফ (২৯), মানিকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম (৫০)। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম বলেন, বিদ্যালয় ভাঙচুরের মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১১জন জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ২১ মার্চ সোমবার মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিদ্যালয়ে অনধিকার প্রবেশ করে ছাত্রছাত্রীদের শ্রেণিকক্ষ থেকে জোর করে বের করে মাঠে নিয়ে সেখানে একটি মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন শেষে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের চেয়ার, টেবিল, দরজা ও জানালার কাচ ভাঙচুর করেন । এই ঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা আমেনা বেগম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ও ৪০-৫০জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মঙ্গলবার দুপুরে থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশ ওই মামলায় উপজেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ ও মানিকপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক জসিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠান।