শিরোনাম
বাঞ্ছারামপুরে ছাত্রদল নেতা ফাহাদের অসমাপ্ত স্বপ্ন পূরণের লক্ষে কাজ করবে বিএনপি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় ছাত্রদল নেতা ফাহাদ নিহত যানজটে স্থবির রাজধানী, সীমাহীন দুর্ভোগ বরগুনায় সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে মারধরের ঘটনায় মামলা বাঞ্ছারামপুরে নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত সাবেক ছাত্রদল নেতা লন্ডন প্রবাসী নুরুল আমিন সজল শেখ মুজিব বাকশাল গঠনের নামে গনতন্ত্রকে কবর দিতে চেয়েছিলো- এম এ খালেক পিএসসি সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন তাজের গ্রেফতারের খবরে বিএনপির আনন্দ মিছিল বাঞ্ছারামপুরে শেখ হাসিনার বিচার দাবিতে যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার দাবিতে বাঞ্ছারামপুরে বিক্ষোভ মিছিল মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা
বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন

অসহায় পরিবারটিকে আলোর মুখ দেখালো ইউএনও

রিপোটারের নাম / ২২৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ১০ মে, ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ারড়িয়ার নবীনগর পৌর এলাকার মঝিকাড়া গ্রামের রিস্কা চালক অরুণ মিঞা যার থাকার কোন জায়গা নেই। স্ত্রী ও দুই প্রতিবন্ধী ছেলে নিয়ে পরের বাড়িতে একটি একচালা ছাউনি ভাড়া নিয়ে কোন রকমে জীবন চালিয়ে যাচ্ছিল। বড় ছেলের নাম মোছেন মিয়া(১৪)ছোট ছেলে ছেলের নাম আবির (১২)। জন্মের পর টাইফয়েড জ্বরে তার ছোট ছেলে আবিরের বাম পা বিকলাঙ্গ হয়ে যায়, আর বড় মোছেন মিয়া বাক প্রতিবন্ধী ও হাত পা বিকলাঙ্গ। আবিরের পায়ে একটি রড দিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলে তার জীবন। রিস্কা চালিয়ে অল্প আয়ের সংসারে তিন বেলা ভাত জোগাড় করতে পারতো না অরুন, ছেলেদের চিকিৎসা তো দুরের কথা। এরই মাঝে ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস জীবন যুদ্ধে চলা অবস্থায় হঠাৎ একদিন আবিরের দাদা,দাদি,বাবাসহ পরপর তিন দিনে তিনজনের মৃত্যু দেখে ওই প্রতিবন্ধী দুই শিশু। বেঁচে থাকার আলো নিভে যায় তাদের। আবির পা খুড়িঁয়ে ভিক্ষা করে মা ভাইয়ের খাবার যোগার করত। সম্প্রতি এই পরিবারের হৃদয়বিদারক এই কাহিনী সমাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। তা দেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামূল ছিদ্দিক এই অসহায় প্রতিবন্ধী পরিবারটি পাশে দাড়াঁলেন। তাদের হাতে তুলে দেন পাঁচ মাসের খাদ্য সামাগ্রী ও নগদ অর্থ। আর আবিরকে অপারেশন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে এনে জিননদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেনীতে ভর্তি করে দেন এবং মাথা গুঁজার ঠাই হিসাবে প্রধানমন্ত্রী আশ্রয়ন প্রকল্পে জিনোদপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের জমিসহ একটি আধাপাকা ঘর উপহার দিলেন।

বুধবার(১০/৫)স্কুলে আবিরের সাথে কথা হয়,আবির বলে,লেখাপড়া করে বড় হয়ে আমি স্যারের মত হবো। আমিও মানুষের সেবা করবো, স্যার যেভাবে মানুষকে উপকার করে আমিও তেমন ভাবে মানুষের উপকার করবো। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
জিনোদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার বলেন,তার দায়িত্ব আমাদের ইউএনও মহোদয় নিয়েছেন। আবির লেখাপড়ায় খুব মনোযোগী, আমরাও তার লেখাপড়ার বিষয়ে সর্বোচ্চ খেয়াল রাখছি।
এই মানবিক বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক বলেন,সমাজে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হচ্ছে। যে পরিবারটিকে সহায়তা প্রদান করা হলো সেই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিসহ তিন দিনে তিনজন মারা গেছেন। আমরা চেয়েছি পারিবারটির জন্য স্থায়ীভাবে কিছু একটা করে দিতে।এখন তারা সমাজের মূল স্রোতে ফিরে এসেছে। আবিরের মা শিউলী বেগমকে সেলাই প্রশিক্ষণ ও গাভী পালনের প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!