গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রামদিয়া শ্রীকৃষ্ণ শশিকমল বিদ্যাপীঠের ছয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কোচিং করতে বাধ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গোপালগঞ্জের জেলা কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়টির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী।
অভিযোগে বলা হয়েছে, বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি একটি বিষয় লক্ষ করা যাচ্ছে, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সজল কান্তি বিশ্বাস, সহকারী শিক্ষক রাসেল মোল্লা, রমানাথ বিশ্বাস, বিপুল চন্দ্র মণ্ডল, অনিমেষ বৈদ্য ও মিরাজ হোসেন কোচিং করানো নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে অবহেলা করছেন তাঁরা। এসব শিক্ষকের কাছে কোচিং না করলে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অকৃতকার্য করানো হয়। ফলে অভিভাবকেরা বাধ্য হয়ে তাঁদের ছেলেমেয়েদের কোচিং সেন্টারে পাঠাচ্ছেন। বছরের পর বছর পর এই কোচিং–বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। কোচিংয়ের জন্য শিক্ষার্থীপ্রতি ৫০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। এভাবে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন শিক্ষকেরা। এ ব্যাপারে অভিভাবক সভায় বিদ্যালয়ের সভাপতিকে অভিযোগ করা হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষক বিপুল চন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘এলাকায় শতাধিক শিক্ষক থাকেন। সবাই প্রাইভেট পড়ান। যিনি অভিযোগ করেছেন, তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করেছেন। আমরা পরিপত্র অনুযায়ী, প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে প্রাইভেট পড়াই। তবে অভিযোগে প্রতিটি ব্যাচে ৫০ জন করে পড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এটা ঠিক নয়। আমি তিন ব্যাচে মোট ৫০ জনকে পড়াই।’
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। যেখানে অভিযোগ করেছেন, তারা ব্যবস্থা নেবে। আমার কাছে যেহেতু কোনো অভিযোগ করা হয়নি, সেহেতু এ বিষয় আমার কী করার আছে?’
দুদকের গোপালগঞ্জের জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. সিফাত উদ্দীন বলেন, ‘আমাদের অভিযোগ যাচাই-বাছাই কমিটি আছে। কমিটির মাধ্যমে অভিযোগ প্রধান কার্যালয় পাঠানো হয়। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করা হবে।