শিরোনাম
বাঞ্ছারামপুরে জনি চেয়ারম্যান এর বিকল্প নেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে জনি চেয়ারম্যান বাঞ্ছারামপুরে ডাকাত আতঙ্ক , উদাসীন প্রশাসন টাঙ্গাইল সাহিত্য সংসদের উদ্যোগে কবি এ.এম.ইকবালকে কবি ও শহীদ বুদ্ধিজীবী নিত্যানন্দ পাল স্মৃতি পুরস্কার প্রদান দেশবাসী উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বার্থে নৌকায় ভোট দিয়েছে- ক্যাপ্টেন তাজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-০৬ আসনে নৌকার মাঝি ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ইউএনও এবং ওসি বদলীর নির্দেশ দিয়েছে ইসি বাঞ্ছারামপুরে মাটি চুরির অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা দিলো ইউপি সদস্যের স্বামী আখাউড়ায় বাজারে পেঁয়াজের কড়া ঝাঁজ! সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে চৌদ্দগ্রাম প্রেসক্লাবের উদ্যোগে প্রতিবাদসভা ও মানববন্ধন
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন

একটি সেতুর আশায় ৫২ বছর!

রামগড় প্রতিনিধি: / ৪০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
একটি সেতুর আশায় ৫২ বছর!
একটি সেতুর আশায় ৫২ বছর!

খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভার তৈছালাপাড়া এলাকায় রামগড়-খাগড়াছড়ি সড়কের পাশে আবুল বলির বাড়ি সংলগ্ন তৈছালাপাড়া খালের ওপর সেতু নেই প্রায় ৫২ বছর ধরে। খালের ওপর নির্মিত ১ জোড়া ৬০ ফুট লম্বা বাঁশের সাঁকো দিয়ে তৈছালাপাড়া, বতপাড়া, সোনাইআগা গ্রামের হাজারো মানুষ ঝুঁকি নিয়ে যুগ যুগ ধরে চলাচল করছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, খালের অপর পাড়ে রয়েছে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীসহ বাসিন্দাদের পারাপারে প্রায়ই ঘটে ছোটখাটো নানা দুর্ঘটনা। বিপর্যনক দুটি বাশেঁর সাকোটিই গ্রামের বাসিন্ধাদের ভরসা । একটি সেতুর জন্য দেশ স্বাধীনের পর থেকে আশায় বুক বেঁধে থাকলেও তাদের দুঃখ-দুর্দশার দিকে আজ পর্যন্ত কেউ ফিরে তাকায়নি। বর্ষার মৌসুম এলেই দুর্ভোগ বেড়ে যায় সাঁকোতে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ অসুস্থ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েন। ঝড়বৃষ্টিতে বাঁশের সাঁকোতে পারাপার বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। দ্রুত সেতু নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের।

স্থানীয় ভূক্তভোগীদের কয়েকজন জানান, এখানে সেতু নির্মাণের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অনেক আবেদন করা হয়েছে। নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেই প্রার্থীরা প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচনের পর কেউ আর খবর রাখেনা। সামাজিক কবরস্থান এবং মসজিদ খালের ওপারে হওয়ায় এলাকার কোন মানুষ মারা গেলে লাশ দাফনের জন্য মৃত ব্যক্তি নিয়ে সেতু দিয়ে পারপার হতে খুব বেশি দুর্ভোগে পড়তে হয়। তাছাড়াও কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য ও গবাদিপশুর পারাপারের সময় তাদের চরম বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা নাসির উদ্দিন জানান, প্রতি বর্ষা মৌসুমে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা খাল পার হয়ে স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজে যাতায়াত করতে হয়। গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে কোনো রকমে যাতায়াত ব্যবস্থা চালু রাখা হয়।

রামগড় পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র শামীম মাহমুদ জানান, খালের জায়গা নিয়ে জটিলতা থাকায় খালের ওপর সেতুর কাজ করা সম্ভব হচ্ছেনা। জটিলতা নিরসন হলেই বরাদ্দের জন্য আবেদন করবেন।

রামগড় পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম কামাল বলেন, বিষয়টি তিনি জানতেন না। আবেদন করলে ব্যবস্থা নেবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!